ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে ছাত্র শিবির উদ্যোগে বিশাল বিজয় র‌্যালি অনুষ্টিত

shibirমোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::

দীর্ঘদিন পর ঈদগাঁওতে শক্তিমত্তা জানান দিল ইসলামী ছাত্র শিবির। শিবিরের এ আকষ্মিক শো-ডাউনে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সংগঠনটি এ শক্তিমত্তা জানান দেয়। এদিন সকালে সংগঠনের উদ্যোগে ঈদগাঁওতে বের করা হয় বিশাল বিজয় র‌্যালী। ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখা ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে বাজারের দক্ষিণ পাশর্^ থেকে র‌্যালীটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ডিসি রোড অতিক্রম করে বাসস্টেশনে যায়। পরে সেখান থেকে পুনরায় ডিসি রোড হয়ে বাজারের প্রাণকেন্দ্র মাতবর মার্কেট চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে সংগঠনটির শাখা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, বিজয়ের মূল লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত ও ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর একগুয়েমী ও বাকশালী শাসনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে স্বাধীনতার সুফল থেকে জাতি আজ বঞ্চিত। স্বাধীন বাংলাদেশে আজ শাসনের নামে চলছে শোষণ। বিচারের নামে চলছে প্রহসন। রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। মিছিল, মিটিং সকল রাজনৈতিক দলের মৌলিক অধিকার হলেও তা আজ বাকশালের থাবায় বন্ধ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের উপর চলছে নির্যাতনের স্টীমরোলার। মুক্তিযুদ্ধকে পূঁজি করে একটি শক্তি জাতিকে ঐক্যের বিপরীতে বিভক্তির সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বক্তারা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঐক্যের, বিভক্তির নয়। লাখো শহীদের রক্ত¯œাত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা, বিজয়ের সুফল জাতির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগে মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দূর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দলীয়করণের কারণে সরকার সকল ক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের জানমাল ইজ্জত-আব্রুর কোন নিরাপত্তা নেই। গুম, খুন, ধর্ষণ, গুপ্তহত্যা, ক্রসফায়ার ও অপহরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। এভাবে স্বাধীনতা ও মহান বিজয়ের সুফল অর্জন করা কোনমতে সম্ভব নয় উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার করে সরকারের পতন ঘন্টাকে ত্বরান্বিত করতে আহবান জানান। যে মহান লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল কোন অপশক্তির কারণে তা ভুলুন্টিত হতে পারে না। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠি নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ঈদগাঁওতে প্রকাশ্য কার্যক্রম পরিচালনা থেকে এ সংগঠনটি বিরত ছিল। সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেকে মামলা খেয়ে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হওয়ায় এক প্রকার রাজপথে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ, মিছিল করেনি। অবশেষে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আকষ্মিক তাদের বৃহৎ শো-ডাউনে পর্যবেক্ষক মহলে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহলের।

পাঠকের মতামত: